চকরিয়ায় এক প্রতিবন্ধী দম্পতির স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার গভীর রাতে প্রতিবন্ধী মা বাবাকে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে আটকে রেখে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে একটি চিংড়ি প্রকল্পে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ওই রাতেই পার্শ্ববর্তী চিংড়ি প্রকল্পের লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে মেয়েটির মা বাবা থানা পর্যন্ত যেতে পারেনি। শনিবার সকালে মেয়েটি তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মাকে কৌশলে ঘর থেকে বের করে চকরিয়া থানায় চলে গিয়ে অভিযোগ দেয়।
মেয়েটির দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মা জানান; তার স্বামীও শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাদের মেয়েটি ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। তাদের বাড়ি উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী গ্রামে। তাদের বসত ঘরের নিকটে আর কোন বাড়ি ঘর নেই। সেই সুযোগে বুধবার রাত ২টায় পাশ্ববর্তী ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সুয়াজানিয়া গ্রামের নুরুল কাদেরের ছেলে মোঃ জিয়াবুল (৩০), একই এলাকার রুবেল(২৫), জাহাঙ্গীর(২৬), আবুল কাশেম(২৬) প্রতিবন্ধী মা বাবাকে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে আটকে রেখে মেয়েটিকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তারা মেয়েটিকে প্রায় ১ কিলোমিটার দুরে ধন্যারচর এলাকায় মাষ্টার দিদারের চিংড়ি প্রকল্পের খামার বাড়িতে তুলে। সেখানে মেয়েটিকে জিয়াবুল জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অন্যরাও ধর্ষণ করার চেষ্টার একপর্যায়ে পাশের চিংড়ি প্রকল্পের লোকজন গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এসময় ধর্ষক ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। চিংড়ি চাষীরা মেয়েটিকে তার ঘরে চলে যেতে সহযোগিতা করলেও সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা এ ব্যাপারে অভিযোগ দেয়ার জন্য ঘর থেকে বের হতে পারেনি। গতকাল শনিবার কৌশলে মেয়েটি তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মা কে নিয়ে চকরিয়া থানায় চলে যায়। থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি বিস্তারিত অবহিত করলে পুলিশ লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। এতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে ওই ধর্ষক মোঃ জিয়াবুলের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান; জিয়াবুল খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। মেয়েটি এসেছিল, অভিযোগ দিতে বলেছি, অভিযোগ দিয়েছে।
এলাকাবাসি জানান, জিয়াবুল ও তার সহযোগিরা গত মঙ্গলবারও একই এলাকার ৭ম শ্রেণীতে পড়–য়া অপর এক স্কুল ছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। তাদের ভয়ে ওই মেয়েটির আত্মীয়স্বজন মামলা করতে সাহস পায়নি। জিয়াবুল সহ তার সহযোগিরা বিবাহিত। তারা প্রতিনিয়ত ওই এলাকায় ধর্ষণ, চিংড়ি প্রকল্পে ডাকাতি সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড সংঘটিত করে থাকে।
পাঠকের মতামত: